ড. নজীবুর রহমান Dr. Najeebur Rahman
ড. মুহাঃ নজীবুর রহমান ১৯৬২ সালের জুন মাসে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আব্বার নাম মরহুম কারী ইসহাক কবিরাজ। আম্মার নাম জবেদা খাতুন। শৈশবে তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত কালনা প্রাইমারী স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে নিকটবর্তী কাসেমাবাদ আলীয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর ১৯৮১ সালে সউদী আরবস্থ ‘ইমাম মুহাম্মাদ বিন সউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে রিয়াদস্থ ‘মা‘হাদ তা‘লিমুল্ লুগাহ আল-‘আরাবিয়া’ থেকে আরবী ভাষায় ডিপ্লোমা ও মদীনা মুনাওয়ারাস্থ ‘মা‘হাদুল আ‘লী লিদ্দাওয়া আল-ইসলামিয়া’ থেকে ‘ইসলামিক দা‘ওয়া ও সাংবাদিকতা’ বিভাগে অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক আরবী সাহিত্যে এম.এ ২য় স্থান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এম.এ ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। গাজীপুরস্থ দুর্বাটি আলীয়া মাদরাসা থেকে ১৯৯৮ সালে (তাফসীর গ্রুপ) কামিল ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে ‘ইসলামে জিহাদের বিধান’ শীর্ষক শিরোনামে আরবী বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক আ.ফ.ম. আবু বকর সিদ্দীকের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট (পি.এইচ.ডি) ডিগ্রী লাভ করেন।
পরে সউদী দূতাবাসে কিছুদিন কাজ করার পর সউদী আরবস্থ ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী ত্রাণ সংস্থার ঢাকাস্থ অফিসে ইয়াতিম-প্রতিপালন বিভাগের পরিচালক হিসেবে সাত বছর ও কুয়েতী সহযোগিতায় পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম ঢাকাস্থ সংস্থার শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে সাত বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাসে আরবী বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন।
এছাড়া তাঁর প্রকাশিত গবেষণাকর্মের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের মধ্যে- (১) ইসলামে জিহাদের বিধান, (২) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে জিহাদ ও তার শিক্ষা, (৩) আধুনিক আরবী সাহিত্যে নাজীব মাহফুজের অবদান, (৪) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার ও ইসলামী শরীয়াত, (৫) ইলমুল ফিকাহ্, (৬) ইসলামে সার্বজনীন মানবাধিকার : প্রেক্ষিত অমুসলিম অধিকার, (৭) ইসলামী বিচার ব্যবস্থার ইতিহাস, (৮) মানব-সভ্যতার গোড়াপত্তনে আল্লাহর বিধান প্রয়োগ-৪ খণ্ড, (৯) শহীদের মর্যাদা ও বিপদ-মুসিবতে অবিচল থাকার তাৎপর্য, (১০) নারী মুক্তি ও ইসলাম, (১১) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন ও সুদৃঢ়করণে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রভাব ও (১২) ঈমানের সৌন্দর্য অন্যতম। অতি সম্প্রতি তাঁর লেখা- আধুনিক আরবী সাহিত্যে তাওফিক আল-হাকীমের অবদান প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।